দুদকের চার কর্মকর্তাসহ ৭ জন শুদ্ধাচার পুরস্কার পেলেন
জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কার পেয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দুই পরিচালক, উপ-পরিচালক ও সহকারী পরিচালকসহ সাত কর্মকর্তা-কর্মচারী। জাতীয় শুদ্ধাচার ২০২০-২০২১ এ কৌশল কর্ম-পরিকল্পনা বাস্তবায়নে তাদের অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে দুদক এই পুরস্কারের জন্য তাদের নির্বাচিত করলো।
পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন, দুদকের প্রধান কার্যালয়ের পরিচালক (মানিলন্ডারিং) গোলাম শাহরিয়ার চৌধুরী ও সাঁটমুদ্রাক্ষরিক-কাম-কম্পিউটার অপারেটর মোহাম্মদ কামরুজ্জামান সরকার, বিভাগীয় পর্যায়ে ময়মনসিংহ বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক মো. কামরুল আহসান ও দুদকের সিলেট অফিসের হিসাব রক্ষক মীর মোহাম্মদ আলী এবং সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের ক্যাটাগরিতে দুদকের দিনাজপুর অফিসের উপ-পরিচালক আবু হেনা আশিকুর রহমান, যশোরের সহকারী পরিচালক মো. মোশাররফ হোসেন ও রাজশাহী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর আশরাফ আলী।
দুদক সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার স্বাক্ষরিত আদেশ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। সোমবার (৫ এপ্রিল) দুদকের জনসংযোগ দপ্তর থেকে বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করা হয়েছে।
দুদক সূত্রে জানা যায়, গত ২৫ মার্চ জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্ম-পরিকল্পনার বাস্তবায়ন অনুযায়ী দুদক কর্মকর্তাদের শুদ্ধাচার পুরস্কার দেওয়ার জন্য তিনটি বিভাগ ও সাত ক্যাটাগরি নির্ধারণ করা হয়। তিনটি বিভাগের মধ্যে রয়েছে- প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় কার্যালয় ও সমন্বিত জেলা কার্যালয়। ওই সিদ্ধান্ত অনুসারে প্রধান কার্যালয় থেকে পরিচালক পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা ও একজন কর্মচারী, বিভাগীয় পর্যায়ের একজন পরিচালক ও কর্মচারী এবং সমন্বিত জেলা কার্যালয় থেকে একজন উপ-পরিচালক ও কর্মচারীকে পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হবে। সর্বশেষ গত ২৯ মার্চ দুদক সচিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় যাচাই-বাছাই করে পুরস্কারপ্রাপ্তদের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
‘সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়: জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল’ শিরোনামে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল ২০১২ সালে মন্ত্রিসভায় অনুমোদন দেওয়া হয়। এরপর সরকারের মন্ত্রণালয়, বিভাগ বা রাষ্ট্রীয় অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের নির্বাচিত কর্মচারীদের পুরস্কার দেওয়ার উদ্দেশে শুদ্ধাচার পুরস্কার নীতিমালা-২০১৭ প্রণয়ন করা হয়। শুদ্ধাচার চর্চার ১৮টি ক্ষেত্রে ৫ নাম্বার করে মোট ৯০ নাম্বার এবং মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অন্যান্য রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান, দফতর বা সংস্থার কর্তৃক ধার্য করা অন্যান্য কার্যক্রমে ১০ নাম্বার; মোট ১০০ নাম্বারের মধ্যে একজন কর্মচারীকে যাচাই-বাছাই করে পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়। শুদ্ধাচার পুরস্কারপ্রাপ্ত কর্মচারীরা পুরস্কার হিসেবে একটি সার্টিফিকেট এবং এক মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ পাবেন।